আপনি কি ফুটবল ভালোবাসেন? রোজ খেলা দেখেন? কোনো প্রিয় দল আছে?
যদি উপরের সব উত্তর গুলো হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনাকে আরো একটা প্রশ্ন করবো, নিচের বিকল্পের মধ্যে একটা বেছে নিতে বললে কোনটা নেবেন?
এক, আপনার প্রিয় দল প্রায় 50 বছরের উপর ফুটবল খেলছে, গড়ে 2 3 বছরে একটা প্রধান ট্রফি জেতে। ভারতীয় ফুটবলে এই ক্যাটাগরি তে চেন্নাই সিটি ছাড়া আর কোনো দল নেই। যদিও 18-19 এর আই-লীগ বিজয়ী ট্রফি ছাড়া তাদের সেরকম সর্বভারতীয় সাফল্য নেই।
দুই, আপনার প্রিয় দল 5 বছর ধরে ফুটবল খেলছে। এর মধ্যে 10 টা প্রধান ট্রফি জিতে ফেলেছে। ব্যাঙ্গালোর এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
তিন, আপনার দল 75 বছরের বেশি ফুটবল খেলছে কিন্তু শেষ 15 বছর সেরকম কোনো সফলতা নেই। উদাহরন ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান।
দুইনম্বর নিয়ে একটা কথা আগে থেকেই বলে রাখা ভালো, আপনার প্রিয় দলের বয়স যদি মাত্র 5 বছর হয় আর আপনার ফুটবল দেখার বয়স যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে সাধারণত যেটা হতে পারে তা হলো আপনার আগে অন্য কোনো প্রিয় দল ছিল, সেই দলটা খুব সম্ভব আর ফুটবল খেলে না, ফুটবলে লুপ্ত। আর যদি খেলে তাও আপনি অন্য দল পরিবর্তন করেছেন তাহলে ব্যাপারটা আলাদা কারণ আপনি সেই হাতে গোনা সমর্থকদের মধ্যে পড়েন যাদের ঠিক লয়াল বলা হয় না। যদিও মূল আলোচনার সাথে লয়ালিটির সেরকম সম্পর্ক নেই। এরিক ক্যান্টোনা একবার বলেছিলেন, আপনি আপনার বাবা মা, পরিবার, প্রিয়বন্ধু সব পরিবর্তন করতেন পারবেন, কিন্তু নিজের প্রিয় ফুটবল ক্লাব - একদমই না।
আপনার বেছে নেওয়া হয়ে গেলে এদের নিয়ে একটু আলোচনা করে দেখি কার দল কত বেশি সফল।
এক আর তিন কে লেগাসি দল বলা যেতে পারে, দুই এই মুহূর্তের সব থেকে সফল দল। তো এই তিন ধরনের দলেরই কিন্তু পরের বছর ফুটবল সার্কিটে বেঁচে থাকাটা কিন্তু তাদের লেগাসি বা সফলতা ঠিক করে দেয় না। দেয় অর্থনীতি। ফুটবল যতই ওয়ার্কিং ক্লাস খেলা হোক এর গতিপ্রকৃতি কিন্তু ঠিক করে দেয় কঠোর অর্থনীতি। আরো ভালো করে বললে ধনকুবেররা। আর কোনো খেলা এইভাবে বুর্জোয়া প্রলতারিয়েটদের এক জায়গায় আনতে কখনোই পারেনি।
ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া ফুটবল এসোসিয়েসানের একটা সেমিনারে প্রাক্তন মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড ম্যানেজার হেনরি মেনেজেস কে প্রশ্ন করা হয়েছিল একটা ফুটবল ক্লাব কিভাবে ফুটবলে লাভ (প্রফিট) করে? উনি উত্তরে বলেছিলেন পৃথিবীর কোনো ফুটবল ক্লাব ই সেই অর্থে লাভ (প্রফিট) করে না। লোকসান করতে পারে। কিন্তু লাভ (প্রফিট)? উহু সেটা হয় না। কারণ এই বছরের লাভ আপনাকে পরের বছরের জন্য অক্সিজেন দিতে পারে। এইটুকুই।
ফুটবল ক্লাব পরিচালনায় মূলত দু ধরনের পন্থা দেখা যায়। এক, কোন ধনকুবের বা ঐ ধরনের গোষ্ঠী ক্লাব চালায়। তাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্পূর্ণ অধিকার সেই ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর থাকে। ভারতে চার্চিল ব্রাদার্স, ডেম্পো যার উদাহরণ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে চেলসির মালিক একজন রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রাহিমোভিচ, আবার লিভারপুল কে চালায় ফেনয়ে স্পোর্টস গ্রুপ। সিটি ফুটবল গ্রুপ গোটা পৃথিবীতে এরকমই 9 টা ফুটবল ক্লাবের মালিক।
ফুটবলে একটা ক্লাব মূলত আয় করে 1.টিকিট বেচে, 2.মার্চেন্ডাইস বেচে ও 3.প্লেয়ার বেচে। ট্রফি জিতেও আয় হয় কিন্তু সেটা পুরোপুরি ক্লাবের হাতে থাকে না। বেশ কিছু টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করলেই একটা মোটা টাকা আসে সেটা যদিও সব জায়গায় না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ইংল্যান্ডের ফার্স্ট ডিভিসিন লীগ যখন প্রিমিয়ার লীগ এ পরিবর্তিত হলো তখন তারা নিজেদের জন্য পার্টিসিপেশান মানি র ব্যবস্থা রেখেছিল যাতে করে প্রিমিয়ার লিগে খেলা সব দল ই একটা সমান পরিমান টাকা পাবে। ইউরোপের টপ কম্পিটিশন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও বিজয়ী ছাড়াও প্রত্যেক রাউন্ডের জন্য আলাদা আলাদা পার্টিসিপেশান মানি রয়েছে যা প্রতিযোগী ক্লাবদের কাছে লোভনীয়। উল্টো দিকে ইন্ডিয়ান সুপার লীগ, যেখানে উল্টে খেলতে গেলে কশন মানি দিতে হয়।
তো এটা গেল আয়ের ব্যাপার। ব্যয়ের মূল দিক গুলো হলো 1. প্লেয়ার স্যালারি, 2. স্টাফ স্যালারি, 3. ক্লাব মেইন্টেনান্স, 4. ট্রান্সপোর্ট খরচ, 5. প্লেয়ার কেনার খরচ।
আয় ও ব্যয়ের এই এই পয়েন্ট গুলোর মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো ব্যয়ের পয়েন্টগুলোর রাশি প্রতি বছরই বাড়তে থাকে। উল্টে আয়ের পয়েন্টগুলোর রাশি বাড়বে না কমবে সেটা কিন্তু খুব জটিল একটা ব্যাপার।
ফুটবলে একটা কথা খুব চলে, ক্রিয়েটেড বাই পুওর, স্টোলেন বাই রিচ।
এবার দেখুন ব্যয়ের মূল পয়েন্টগুলোর দিকে দৃষ্টি দিই। যে প্লেয়ার টা খেলছে সে নিশ্চই পুওর থাকার জন্য খেলছে না। আজ তার যা স্যালারি কাল সেটা অর্থনীতির নিয়মে বাড়বেই। সাধারণত বয়স ফ্যাক্টর না হলে স্যালারি কমে না, আর যেহেতু একজন ফুটবলার খুব বেশি হলে 40 বছর বয়স অবধিই ফুটবল খেলে তাই তার বাকি জীবনের ভরণপোষণের ব্যবস্থা তাকে ওই সময়ের মধ্যেই করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে খুব ভালো খেলা একজন ফুটবলার পরের বছর দ্বিগুন স্যালারি দাবি করলেও তার গুরুত্বের উপর সেটা সে পেয়েই যায়। এখানেই আসে একটা শাঁখের করাত। আপনার দলের সাফল্যের জন্য তার ভালো খেলা টা জরুরি। ট্রফি জিতলে সেটা উপরি। হিসেব-বহির্ভূত আয়। আবার খুব ভালো খেলে দিলে তার দাম বাড়তে বাধ্য। সেক্ষেত্রে আপনি তাকে বেঁচে দিয়ে অন্য প্লেয়ার আনতেই পারেন কিন্তু দলগত খেলায় একজন সেট প্লেয়ার যে ট্রফি জেতাতে পারে তাকে পরিবর্তন করে আগের বারের সাফল্য ধরে রাখা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। উদাহরণ হিসেবে এই মুহূর্তে রোনাল্ডোবিহীন জুভেন্টাস ও মেসিবিহীন বার্সিলোনার ঘরোয়া লীগের অবস্থাটা একটু দেখে নিতে পারেন। তো খরচ বাড়বেই। শুধু প্লেয়ার স্যালারি না, বাকিগুলোও কিন্তু দোসর।
এবার আয় বাড়াবে কি করে ক্লাবগুলো। টিকিটের দামের সাথে সরাসরি যুক্ত আম-সমর্থক গোষ্ঠী। কলকাতা ময়দানের যারা খবর রাখেন তারা জানেন এখানে 10 টাকার টিকিট কেটেও লোকে ঢুকতে চায় না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের 2019-2020 অর্থবর্ষের বার্ষিক টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান উপরের কথাটার প্রত্যক্ষ প্রমান। টিকিটের দাম বাড়ানোতে আর্সেনাল সমর্থকদের প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করতে দেখা গেছে যদিও এমিরেটস এর মতন বিশ্ব-ক্লাস স্টেডিয়ামে সেই দামটা কতটা যথাযথ সেটা নিয়ে তারা চুপ।
অবশ্য ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এ ফিরে আসার ম্যাচের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী থাকলেও স্টেডিয়াম দর্শকপূর্ণই ছিল। টিকিটের দাম বাড়ানো তাই জটিল, প্রচন্ড জটিল এক মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা ক্লাবের পরিচালকদের কাছে। যদিও দেখা গেছে দাম বাড়ালেও সেভাবে কখনোই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়নি ক্লাবগুলো। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হওয়ার পরে ইউরোপে এই প্রবণতা প্রবলভাবে উঠে এসেছে। তাতেও সমর্থকপুষ্ট ক্লাবদের দর্শকাশন ফাঁকা যায় না। লিভারপুলের সিজন টিকিটের সর্বনিন্ম দাম ভারতীয় মুদ্রায় 70000 টাকা হলেও এনফিল্ড স্টেডিয়াম ফাঁকা গেছে এই বদনাম কেউ দিতে পারবে না। যদিও তাতে খুব কম হলে 22 টা (প্রতি ম্যাচ 3181 টাকা) ম্যাচ ও খুব বেশি হলে 36 টা (প্রতি ম্যাচ 1944 টাকা) আপনি দেখতে পারেন।
মার্চেন্ডাইস সেল শুনতে দারুন লাগলেও পরিসংখ্যান বলছে এই ব্যাপারে বাংলা তথা ভারতের ক্লাবরা ডাহা ফেল। ময়দান মার্কেটের অবদানে বাংলার ক্লাবদের আসল জার্সি প্রায় হয়না বললেই চলে। ইউরোপ অবশ্যই এগিয়ে। পিএসজি মেসির জার্সি বিক্রি করে মেসির স্যালারি প্রায় তুলেই নিয়েছে। বেকহ্যাম কে রিয়েল মাদ্রিদের কেনার কারণের মধ্যে এটাও অবশ্যই একটা কারণ ছিল। বেকহ্যামের জার্সি চিরকালই ইউরোপে হট ফেভারিট। এমনকি সুয়ারেজ ও মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সিলোনা এখনো তাদের নাম দেওয়া জার্সি 50% ছাড়ে বিক্রি করছে সেটাও দেখা গেছে। আয়ের 3 নম্বর পয়েন্ট নিয়েই আগেই আলোচনা করেছি।
আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণেই ভারতীয় ফুটবলে 100 বছরের বেশি প্রাসঙ্গিক ভাবে বেঁচে থাকতে হাতে গোনা কিছু দল ছাড়া কেউ পারেনি। এখন সাফল্যের থেকেও বেঁচে থাকাটাই তাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে।
প্রথমে যে তিন ধরনের দলের কথা উল্লেখ করেছিলাম আমার কাছে মডেল কিন্তু প্রথম দলটাই। যদিও চেন্নাই সিটির ট্রফি সাফল্য সেরকম নেই কিন্তু জাতীয় লীগ শুরু হওয়ার পর যতগুলো দল জিতেছে এই মুহূর্তে চেন্নাই ও এস সি ইস্টবেঙ্গল ছাড়া পঞ্চাশোর্ধ দল তো আর নেই। সাফল্য বলতে সমর্থকরা যদি শুধু ট্রফির কথাই ভাবে তবে কোনো দলই 20 বছরের বেশি টিকে থাকতে পারে না তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ মাহিন্দ্রা, ডেম্পো। ইউরোপে খুব সহজে মালিকানা বদলে যায় যদিও ভারতীয় ফুটবলে ঝাঁপ ফেলাটাই বেশি চোখে পরে। এটিকের সাথে মোহনবাগানের মার্জার ভারতীয় ফুটবলে এই ব্যাপারে এক নতুন দিশা খুলে দিয়েছে বলেই আমার মত। দুবারের আইএসএল জয়ী ট্রফির নিরিখে সফল ক্লাবের সাথে 131 বছরের লেগাসি সমর্থকপুষ্ট আইলিগ ও জাতীয় ফুটবললীগ জয়ী ক্লাব মোহনবাগানের মার্জার দুটো দলের নামকেই প্রাসঙ্গিক করে রাখবে। ইউরোপিয়ান সার্কিটে মার্জার হওয়া সবথেকে সফল দল হলো এ এস রোমা। ভারতীয় ফুটবলে এই ব্যবস্থাটাই আমার মতে সবথেকে ভালো পন্থা। আইএসএল শুরু হওয়ার পর থেকে কেরালা ছাড়া সেভাবে কেউ নিজের ফ্যানবেস বানাতে পারেনি। তাই ফ্যানবেস সমৃদ্ধ ধুঁকতে থাকা ক্লাবগুলোর সাথে সমর্থকহীন আধুনিক ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো মিশে গেলে আখেরে ভারতীয় ফুটবলের ডামাডোল অবস্থা স্থিতিশীল হবে। যেকোনো প্রতিযোগিতার আয়োজকদেরই এটা ভুললে চলবে না দর্শক ও তাদের উন্মাদনা ছাড়া ফুটবলের অস্তিত্বই নেই।
দল চালানোর জন্য আর্থিক যোগানের সরবরাহ ঠিক রাখতে শ্যামনগরের কলকাতা লীগ ও আইলিগ খেলা দল ইউনাইটেড স্পোর্টস একটা অভিনব পন্থা নিয়েছে। ক্রাউড ফান্ডিং। ভারতীয় ফুটবলে এই প্রবণতা নতুন হলেও বেশ কিছু বছর ধরেই ঈস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এইভাবেই ক্লাবের আর্থিক সাচ্ছন্দ আনতে চেয়েছিলেন যা দিনের আলোর মুখ দেখেনি। যদিও ক্রাউড ফান্ডিং কখনোই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান না। তাও ন্যূনতম আর্থিক যোগান নিশ্চিত করে সাফল্যের মুখ দেখলেই স্পনসর আসার এক প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়। সাফল্য না এলেও অন্তত পরিচিতি ও জনসমর্থনের একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ইউনাইটেড স্পোর্টসের এই নতুন পথ কতটা ছোঁয়াচে হবে তা সময়ই বলবে।
তাহলে সফল বলতে ঠিক কোন মাপকাঠিকে বোঝানো হবে? উত্তর টা জটিল। তবে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি (5 বছর) করে সেট টিম ধরে রেখে প্রতি 2 3 বছর অন্তর অন্তত একটা করে ট্রফি ফুটবলের নিরিখে সফলতারই নিদর্শন। এইভাবে ফুটবল সার্কিটে 50 বছর কাটিয়ে দিতে পারলে তার থেকে বেশি সফল কেই বা হবে? কারণ টিকে থাকতে পারলে ভবিষ্যতে মাইলেজ পাওয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্লাবের সাথে যুক্ত হতে চাইবে, এমনকি টুর্নামেন্ট আয়োজকরা তাদের পাওয়ার জন্য নমনীয় হতেও পারে। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে যোগদান তার একটা উদাহরণ। কোয়েস কর্প বা শ্রী সিমেন্ট ও কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের শেষ কিছু বছরের অসফলতাকে অগ্রাহ্য করে বিনিয়োগ করেছে, তার পিছনে বড় কারণ হলো ইস্টবেঙ্গলের টিকে থাকা ভারতীয় ফুটবলে। ফুটবল যেহেতু সমর্থকপুষ্ট একটা খেলা সেখানে স্বাভাবিক নিয়মেই সমর্থকরা প্রতিদিন সেই দলের সাথে মনস্তাত্বিক দিক দিয়ে জড়িয়ে থাকে। তাদের কাছে অনেক বেশি দরকারী প্রতিদিনের চাওয়া পাওয়া। মরসুম শেষে একটা ট্রফি অবশ্যই অনেক বেশি আনন্দ দেয় কিন্তু সেটা কখনোই পরের মরশুমে খারাপ খেলার অজুহাত হতে পারে না। ক্লাব উঠে যাওয়ার অজুহাত তো একদমই না।
তাই বছরে 2 টো করে ট্রফি পেয়ে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি রেখে 10 বছর পর উঠে যাওয়া সফলতার নিদর্শন নয়। মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, ডেম্পো তাই ভারতীয় ফুটবলের ফুটনোট হিসাবেই থেকে যাবে। মরা হাতি ফুটবলে এক টাকাও না। উল্টে নাই মামার থেকে কানা মামা ভালো।