অরিত্রতুহিন দাস পেশায় ভারতীয় রেলের বরিষ্ঠ বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার। নেশায় থ্রিলার পড়া, মহাকাশ চর্চা, রেডিও, পিস্তল শুটিং, দাবা, আর ফুটবল। অপেশাদার জ্যোতির্বিদ হিসাবে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ভেরিয়েবল স্টার অবজারভার্সের পর্যবেক্ষক ও সদস্য। প্রথম প্রকাশিত বই চার-ভূত। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছয় যার মধ্যে অভিযান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত মরণবিমা সিরিজ ও ছায়াপথ উল্লেখযোগ্য। ভারত স্কাউটস এন্ড গাইডসের সদস্য হিসাবে 2007 সালে রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত। আরো জানতে ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট www.aritra.space থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশন, 18 মে, 2024।
অরিত্রতুহিন দাস, সুজয়কুমার মুখোপাধ্যায়, শ্রীময়ী রায়, শাশ্বত ধর।
বিষয় - বাংলা থ্রিলারে বাস্তব ও পরাবাস্তব।
_______________________________________
Day 1 Session 2, 18 th May, 2024.
Host - Aritratuhin Das
Speakers - Sujaykumar Mukhopadhyay, Srimoyi Roy, Saswata Dhar
Sub - Reality and Surreality in Bengali Thriller
অডিও স্টোরি শুনুন
'মিস্টিরিয়াস ডেথ রিপোর্ট অন জন হোর্ডিং' অবলম্বনে 'হোর্ডিং সাহেবের মৃত্যু রহস্য'
সময়টা ব্রিটিশ পিরিয়ড। ব্রিটিশদের বানানো এক রেল কারখানা। সেখানের প্রধান অফিসারের দায়িত্ব নিতে এসে হঠাৎ করেই রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন জন হোর্ডিং সাহেব। কালের রথচক্রে চাপা পড়ে থাকা প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন সেই ডেথ রিপোর্ট সামনে চলে এলো আকস্মিক ভাবেই। তারপর......
আমার লেখা গল্পগুলো পড়ুন
দিনটা ছিলো বৃহস্পতিবার, গ্রেগরিয়ান কেলেণ্ডার তারিখ দেখাচ্ছে সতেরোই ফেব্রুয়ারী, ষোলশো খ্রিস্টাব্দ। সূর্য মাথার উপরে থাকলেও সেভাবে তেজ দেখাচ্ছে না। গোটা রোম শহরের প্রতিটা জীবিত প্রাণীর গন্তব্যস্থল যেন ‘ফুলের মাঠে’র দিকে। ‘ফুলের মাঠ’ নাম হলেও জায়গাটা পাথর দিয়ে বাঁধানো একটা চত্বর। সেই কোন মধ্য যুগে এখানে দারুন দারুন সব ফুল ফুটতো, তখনো রোম সারা পৃথিবীর খ্রিস্টান ধর্মের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠেনি। ‘ক্যাম্পো দে ফিওরি’ বা ‘ফুলের মাঠ’ নামটা তখন থেকেই রয়ে গেছে।
আজ অবশ্য এত লোক জড়ো হচ্ছে, এক পাপীর মৃত্যুদন্ড কার্যকরী হতে দেখতে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে বিচার চলেছে রোমান কার্ডিনাল বেলারমাইনের দপ্তরে, আগের মাসে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে পোপ ক্লেমেন্ট। কার্ডিনাল বেলারমাইন পরে সেন্ট উপাধি পেয়েছিলেন, কিন্তু সে অন্য গল্প। মূলত আটটি অন্যায় করেছে বাহান্ন বছর বয়সী লোকটা, ক্রিস্টান ধর্মের মূল বিশ্বাসগুলোকে নিজের লেখালেখির মাধ্যমে ভ্রান্ত প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, ভগবানের লিখিত নির্দেশদের বিপক্ষে নিজের স্বাধীন চিন্তাভাবনা জানিয়েছে। ভগবানের বিরুদ্ধে এ এক নিদারুন ষড়যন্ত্র।
ক্লাসে পাঠকবাবু ঢুকতেই যে হল্লাটা হচ্ছিল, সেটা থেমে গেল। টিফিনটাইমের আগের ক্লাস, তায় আবার অঙ্ক, একটু বেচাল হলেই গোটা টিফিন পিরিয়ড মাঠে না খেলে, নিল ডাউন হয়ে কাটিয়ে দিতে হবে ক্লাসরুমের সামনেই। তাই, উনাকে দেখেই গোটা ক্লাসরুমে যে নিরবতা নেমে এলো, সেটা হয়তো পিন ড্রপ সাইলেন্সেরই সংজ্ঞা। মফস্বলের বাংলা মিডিয়াম স্কুল। এখানে স্যার ঢুকলেই গুড মর্নিং স্যার, বলার চলটা নেই। উল্টে নীরবতাই সন্মান জানানোর অন্যতম উপায়।
পাঠকবাবু একটু অখুশিই হলেন, অন্যসব স্যারদের মতন উনি কখনোই হল্লা করা ক্লাসরুমকে মাছের বাজার মনে করেন না। বরং একটু হল্লা হলেই উনার ভাল লাগে। বেশ আরামে পেটানো যায়।...
মালাধর বসু স্মারক 2024