ফেসবুকে প্রকাশিত
ঘটনাটা দুহাজার ষোল সালের।
একটা ক্যাম্প করতে গেছি মধুপুরে। মধুপুর একসময় বাঙালিদের হাওয়া পরিবর্তনের জায়গা হিসাবে বিখ্যাত ছিলো, বিভিন্ন খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের লেখনীতে এই ছোট এলাকার নাম বার বার উঠে আসতো। বর্তমানে ঝাড়খন্ডে অবস্থিত হলেও প্রচুর বাঙালি আজ ও এখানে বসবাস করে, এমনকি স্টেশনের নাম ইংরেজি, হিন্দি, উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা থাকে। শুধু তাই নয়, স্টেশনের পাশের বাজারে বাংলায় কথাবার্তা বলে অনায়াসেই কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। মধুপুর এখন দেওঘর জেলার অন্যতম প্রধান পৌরসভা শহর।
হাওড়া থেকে পাটনা যাওয়ার পথে পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন স্টেশন এই মধুপুর। মধুপুর স্টেশন থেকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে দুটো রেল লাইন বেরিয়ে গেছে। উত্তর দিকের লাইনটা গেছে দেওঘর হয়ে পাটনা, আর পশ্চিম দিকের লাইনটা গিরিডি অবধি পৌঁছেছে। যেখান থেকে দুটো লাইন বিভক্ত হয়েছে সেই ত্রিভুজাকার জায়গায় পূর্ব রেলের এই ক্যাম্পিং সাইটটা তৈরি। সেইজন্য ক্যাম্পের দুধারেই রেললাইন। মূল রাস্তা থেকে প্রায় দুশো মিটার ভিতরে ও গাছপালায় ঢাকা হওয়ার জন্য স্বভাবতই নির্জন ক্যাম্পসাইট। প্রচুর গাছ দিয়ে সাজানো এই ক্যাম্পসাইটে এলেই মন ভালো হয়ে যায়।
ক্যাম্পের মূল মজাটা আমরা করতাম রাতের বেলায়। সারাদিন বিভিন্ন কাজ মানে যাকে বলে ক্যাম্প এক্টিভিটিস, সেগুলো করার পর ক্যাম্পফায়ার হতো সন্ধ্যে সাতটার সময়।
ক্যাম্পফায়ার প্রতিটা ক্যাম্পের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের বস্তু। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য সব ক্যাম্পাররা একজায়গায় গোল হয়ে বসে নাচ, গানের মাধ্যমে নিজেদের রিফ্রেশ করে। ক্যাম্পফায়ার চলতো প্রায় এক ঘন্টা, তারপর রাত আটটা থেকে ডিনার, আর রাত দশটায় লাইট অফ। মানে সবাইকে বিছানায় শুতে যেতে হবে, কারণ পরের দিন সকাল পাঁচটায় উঠতে হতো।
তো এই লাইট অফ হলেই শুরু হতো আমাদের নৈশ অভিযান। মধুপুরে যে কোনো মরশুমেই রাতের উষ্ণতা দিনের থেকে অনেকটাই নেমে যেত। আর গরমকালে প্রচুর ফল হতো। আম আর কাঁঠালের গন্ধে সে এক পাগল পাগল অবস্থা হতো আমাদের।
সেই জন্য গরমকালে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকতো ক্যাম্পের বিশাল এলাকা জুড়ে যে আম, কাঁঠালের প্রাচুর্য্য সেগুলো চুরি করে রাতেই সাবাড় করা। এমনটা না যে আমাদের সেগুলো খেতে দিত না, তবুও চুরির মতন গর্হিত কাজ করা, মানে ক্যাম্পের নিয়মানুবর্তিতা ভাঙা, আর সেটাতেই আমাদের যত মজা ছিল।
আরেক প্রকার মজা ছিল রাতে যারা ঘুমাতে চায়, তাদের বিরক্ত করা। এক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার ভয়টা সেভাবে থাকতো না, তবে যাকে বিরক্ত করা হতো, তার জন্য পরের দিনটা খুব কঠিন হয়ে যেত, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার জন্য। তবে এই ধরনের বিরক্ত করার কাজে কে কার দলের লোক সেটা বোঝাই সবথেকে সমস্যা ছিল। এক্ষেত্রে যারা রোজ টিম চেঞ্জ করতো তারাই সবথেকে মজাতে থাকতো।
সবথেকে বেশি মজা হয়েছিল সঞ্জীবের উপর। ওকে একবার রাত দেড়টার সময় ঘুম থেকে উঠিয়ে দিয়ে বলেছিলাম, ভোর সাড়ে চারটে বেজে। বেচারা আমাদের কথা বিশ্বাস করে, ওই রাতে উঠে দাঁত মেজে, স্নান করে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে তারপর ঘড়িতে দেখতে পায় সবে রাত দুটো।
কিন্তু অন্যরকম একটা মজা করার জন্য সেবার প্রাণ নিয়ে টানাটানি হয়েছিল আমাদের। সেই ঘটনাটাই আজ বলবো।
সেই ক্যাম্পে জনা কুড়ি ছেলে এসেছিল। আমরা মানে যারা এইসব গর্হিত কাজ করায় সিদ্ধহস্ত, ছিলাম চারজন। আমরা চারজনই ছোট থেকে একসাথে ক্যাম্পে আসি। তাই কিভাবে বাকিদের জ্বালাতন করতে হয়, সেই ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেকটাই। রাতে বাকি ছেলেদের আমাদের হাতে শিকার হতে হতো। আমরা দিনের শুরুতেই টার্গেট করে নিতাম সেই রাতে কিভাবে কাকে বিরক্ত করবো। সাধারণত কেউ ঘুমিয়ে গেলে তার গায়ে জল ঢেলে দেওয়া বা তাকে চারজন মিলে ধরে বাথরুমে শুইয়ে দেওয়া এসবের মধ্যেই আমাদের কাজ সীমিত থাকতো।
কিন্তু যে রাতে ঘটনাটা ঘটেছিল, সেদিন সকালেই আমরা ঠিক করেছিলাম, এসব ছোটখাটো কাজে হাত নোংরা না করে এবার বড় কিছু করতে হবে। শুভ ছিলো আমাদের মধ্যে সবথেকে পাকা ছেলে। ও বুদ্ধি দিলো রেললাইনে ভূত নামানোর।
মানে আমাদের মধ্যে একজন আগে থেকে ক্যাম্পের পাঁচিল পেরিয়ে রেল লাইনের আশেপাশে লুকিয়ে থাকবে। ওর কাছে থাকবে একটা সাদা কাপড়। দুজনকে ভয় দেখানোর টার্গেট ছিল আমাদের। সৌমেন ও পকাই। পকাইয়ের ভালো নাম সৌরসেন, কিন্তু আমরা ওকে পকাই বলেই ডাকতাম। তার মধ্যে থেকে পকাইকেই বেছে নিলাম শিকার হিসাবে, কারণ ও অনেকদিন ধরেই আমাদের দলে ঢোকার একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, তাই ওকে কিছু একটা করতে বললে রাজি না হয়ে যাবে না। আমাদের প্ল্যানিং অনুযায়ী পকাইকে ডিনারের পরে হাঁটতে যাওয়ার নাম করে রেল লাইন ধরে হাঁটানো হবে। যেখান থেকে লাইনের বাঁকটা শুরু হচ্ছে ওখানেই লুকিয়ে থাকবে ছদ্মবেশী ভূত, আমরা কাছাকাছি এলেই কাপড় মুড়ি দিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হবে। তারপর যা হয় দেখা যাবে।
এক্ষেত্রে বলে রাখি পুরো ক্যাম্পসাইটটা উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকলেও মধুপুরের অসমতল জমির জন্য একজায়গায় পাঁচিলের উচ্চতা অনেকটাই কম। আমরা সাধারণত ওখান দিয়ে পাঁচিল টপকাতাম। আসলে ক্যাম্পের নিয়মে আমাদের ক্যাম্পসাইট থেকে বেরোনোর নিয়ম থাকে না যতদিন না ক্যাম্প শেষ হয়। তাই এইসব লুকিয়ে লুকিয়েই করতে হয়, আর আগেই বলেছি নিষিদ্ধ কাজ করার মজাই আলাদা।
এরকম প্ল্যানিং করার পর প্রথমেই যেটা করতে হয় তা হলো, এই প্ল্যানিং নিয়ে আর কোনো শব্দ উচ্চারণ না করা। তারপর সারাদিন টার্গেটের আশেপাশে থেকে তাকে বুঝতে দেওয়া হয় না যে সে টার্গেট।
পকাইয়ের সাথেও সেম কাজ করা হলো। সকালেই পকাইকে জানানো হয় একটা নাইট গেম খেলা হবে পরের দিন, যার প্ল্যানিং করতে ডিনারের পর আমরা সবাই বেরোবো। কিন্তু সবাইকে নেওয়া যাবে না, তাই ও যেন কাউকে না বলে। আর সারাদিন জুড়ে ওর সামনেই আমরা অন্যদের পিছনে লাগতে থাকি, যাতে করে আমাদের টার্গেট সমন্ধে বিন্দুমাত্র ধারণা ও না পায়।
প্ল্যান মতন ডিনার হয়ে গেলে আমরা সবাই পাঁচিল টপকে বেরিয়ে পরি। রাতের আকাশ পরিষ্কার ছিলো, শুক্লপক্ষের চাঁদের আলোয় পাঁচিলের আশপাশ বেশ ভালই দেখা যাচ্ছিল। আমরা মানে চার-জন পাঁচিল টপকে রেললাইন ধরে হাঁটা শুরু করলাম। ভুত সাজার জন্য শুভ আগেই চলে গেছে।
প্ল্যান মতনই সবাই এগোচ্ছিলাম। ক্যাম্পসাইট থেকে রেল-লাইনটা খানিকটা সোজা গিয়ে হটাৎ করেই একটা বাঁক নিয়ে মধুপুর স্টেশনের দিকে চলে গেছে। ওই বাঁকের পাশেই অনেকগুলো ঝোপ মতন আছে। ওখানেই কোনো একটা ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকার কথা ভুত সাজা শুভর।
আমরা ওই জায়গার কাছে আসতেই প্ল্যান মতন ঝোপের মধ্যে থেকে সাদা কাপড় ঢাকা দিয়ে ঝোপ থেকে বেরিয়ে এলো শুভ।
"পালাও পালাও ভূত ভূত!!" বলে চিৎকার জুড়ে দিলাম আমরা। পালাবার যদিও কোনো চেষ্টা ছিল না, তবুও ভয়ের পরিবেশ তো আনতেই হতো, পকাইয়ের জন্য।
আমাদের চিৎকার শুনে পকাই পালাবার চেষ্টা করতেই ভুতরূপী শুভ ওর দিকে এগিয়ে এলো। এমন সময় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। পলায়মান পকাই হটাৎ ঘুরে গিয়ে রেল লাইন থেকে পাথর তুলে ছুঁড়তে শুরু করে দিলো শুভর দিকে। এটা একদমই আমাদের প্ল্যানে ছিল না, আমরা ভেবেছিলাম পকাই দৌড় লাগাবে, আর আমরা সেটা দেখে মজা নেব।
কিন্তু এতো উল্টে গেল ব্যাপারটা। ছুঁড়ে আসা দুটো পাথরকে এড়াতে পারলেও, তিন নম্বর পাথরটা সরাসরি গিয়ে লাগলো শুভর বুকের কাছাকাছি, ওকে বুকে হাত দিয়ে পড়ে যেতে দেখলাম লাইনের ওপারে।
'ওরে থাম থাম, পকাই পাথর মারিস না। ওটা শুভ!! ভূত না।' প্রায় সমস্বরে আমরা চিৎকার করে উঠলাম। কিন্তু পকাই শুনলো না। আরো চার পাঁচটা পাথর উঠিয়ে এবার ছুঁড়তে শুরু করে দিলো আমাদের দিকে। একটা পাথর আমার হাঁটুতে এসে লাগলো। রেলের ব্যাসল্ট পাথর! মনে হলো হাঁটু ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে, ব্যাথায় পা ধরে বসে গেলাম। আমার পাশেই ছিল সুদীপ, ওর কপালে এসে লাগলো একটা পাথর, সাথে সাথে কপাল ফেঁটে রক্ত পড়তে শুরু করে দিলো, সুদীপ ও বসে পড়েছে ততক্ষণে।
আমাদের সাথে আরেকজন ছিল, গণেশ, কিন্তু ওকে দেখতে পেলাম না। ও হয়তো পালাতে পেরেছে, পাগল পকাইয়ের পাথরের হাত থেকে। কিন্তু আমাদের দুজনের সামনে তখন মূর্তিমান বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পকাই, দুটো পাথর নিয়ে।
"কিরে আর ভূত ভূত খেলবি? বল দেখি, বল, বল!!" পকাই আমাদের উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলছে আর দুহাতে দুটো পাথর নিয়ে নাচাচ্ছে। ব্যাথায় আমার পা প্রায় অবশ হয়ে আসছে। পকাইয়ের গলাটা কেমন যেন শোনালো। একটু খোনা খোনা। পাশে তাকিয়ে দেখি সুদীপ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। চোখ গেল শুভর দিকে, রেল লাইনে সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা। প্রায় মরার মতন পরে আছে, জানিনা বেঁচে আছে কিনা। ভয় হলো, শুভ যেভাবে পড়ে আছে, তাতে মরে না গিয়ে থাকলেও এই লাইনে যদি এই মুহূর্তে ট্রেন চলে আসে তাহলে নির্ঘাত চাপা পড়বে। পকাইকে প্রাণভয়ে বললাম, "ক্ষমা করে দে ভাই, আর করবো না ভুল হয়ে গেছে।"
"তোদের ক্ষমা নেই, এইভাবে যুগ যুগ ধরে নিজেদের বন্ধুদের ভয় দেখিয়ে যাস, তাদের নিয়ে মজা করে যাস, লজ্জা লাগে না? তোদের আমি ছাড়বো না!!" বলে পাথরটা ছুঁড়ে দিলো আমার মাথার দিকে, ব্যাস আমার আর কিছু মনে নেই।
জ্ঞান ফিরেছিলো তার দুদিন পরে। হাঁটুতে রক্তক্ষরণের ফলে অজ্ঞান হয়েছিলাম, মাথায় যদিও আঘাতের কোনো চিন্হ ছিল না। সুদীপের কপালে স্টিচ পড়েছিল, তিনটে। কিন্তু সব থেকে ক্ষতি হয়েছিল শুভর। বুকে পাথর লাগতেই ও লাইনে পড়ে যায়, আর মাথাটা ঠুকে যায় স্লিপারে। দাঁত অনেকগুলোই ভেঙে গেছিল।
আর গণেশই আমাদের সবার প্রাণ বাঁচায়। পকাইকে পাথর ছুড়তে আর শুভকে রেল লাইনে পড়ে যেতে দেখে ও পালিয়ে যেতে পেরেছিল। পাঁচিল টপকে ক্যাম্পসাইটে পৌঁছে তারপর সবাইকে নিয়ে আসে আমাদের কাছে। সুস্থ হওয়ার পর গণেশের কাছে যা যা শুনেছিলাম, সেই কথা মনে করলে আজও আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। ওর বর্ণনাটাই শুনুন তাহলে।
"তোদের থেকে আমি বেশ কিছুটা পিছনে ছিলাম। পকাইকে পাথর ছুঁড়তে দেখেই আমি দৌঁড়ে পাঁচিল টপকে মেন গেটের সামনে লিডারদের টেন্টে গিয়ে ওদের সব জানাতে গেলাম। জানতাম আমরা দোষী, কিন্তু শুভকে ওই ভাবে পড়ে যেতে দেখে আমি তখন আর অতসব ভাবিনি। কিন্তু ওদের টেন্টে ঢুকতেই একটা বিশাল ধাক্কা খেলাম। পেট খারাপ হয়েছে বলে ওষুধ নেওয়ার জন্য লিডারদের টেন্টে দাঁড়িয়ে আছে পকাই!!
আমি এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলাম। জাস্ট কিছুক্ষণ আগে যে ছেলেটার সাথে পাঁচিল টপকে বেরোলাম আর তারপর যাকে এই মাত্র আমি দেখে এসেছি রেললাইনের পাথর ছুঁড়ছে সে কিভাবে এখানে এলো!! ওকে জিজ্ঞেস করলাম যে ও এখানে কি করছে, ওর তো আমাদের সাথে থাকার কথা। পকাই বললো, ডিনারের পর আমাদেরকে অনেক খুঁজেছে ও, কিন্তু পায়নি, পেটটা খারাপ করছে বলে ওষুধ নিতে এসেছে। আমার সারা শরীর দিয়ে হিম স্রোত নেমে গেল। লিডারদের সবকিছু বলার মতন সময় তখন আমার ছিল না, ওদের শুধু বললাম, তাড়াতাড়ি আমার সাথে চলো, সবার খুব বিপদ হয়েছে। যখন তোদের পাই, তোরা সবাই অজ্ঞান। ভাই, বিশ্বাস কর, পকাই যায়নি আমাদের সাথে। কিন্তু কে গেছিল আমি জানি না রে, কিন্তু যেই যাক, সে মানুষ ছিল না রে!!"
ওর মুখে সবটা শুনে বুঝতে পেরেছিলাম, আমাদের মতনই মজা করতে গিয়ে হয়তো কারোর জীবনে নেমে এসেছিল চরম ক্ষতি, তার বদলা নেওয়ার জন্যই সে ঘুরতে গেছিলো আমাদের সাথে। তবে আমি ও জানি না সে কে ছিল!
পরে শুনেছিলাম প্রায় পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়া এই ক্যাম্পসাইট, এরকম অনেক ঘটনারই সাক্ষী, কিন্তু তার প্রায় বেশিরভাগটাই লুকানো। উত্তর না পেলেও গণেশের কথাগুলো মনে আছে এখনো।